তৃণমূল কর্মীকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে : উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে

20th February 2021 7:58 am বর্ধমান
তৃণমূল কর্মীকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে  : উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মেমারী ) : রাতের অন্ধকারে লাঠি , বাঁশ দিয়ে মেরে তৃণমূল কর্মীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের মেমারী পৌরসভার পাওয়ার হাউস পাড়ায় । অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে । ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর মা মেমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে তারা এখনো অধরা । অবশ‍্য পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপিও । আহত তৃণমূল কর্মীর নাম দেবাশীষ মালাকার । মেমারী থানার আমাদপুর পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুরের বাসিন্দা । 

আক্রান্ত দেবাশীষ মালাকার এর মা সুন্দরী মালাকার পুলিশকে জানিয়েছেন , রাত্রিবেলা বাড়ি ফেরার সময় তার ছেলের উপর দিঘীরপাড় এলাকায় চারজন চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধোর করে । তারা হল সনৎ বিশ্বাস , রাজা ধাড়া , স্বপন মজুমদার ও বিশ্বজিৎ মজুমদার । এই চারজন মেরে দেবাশীষের মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা সমস্ত কিছু নিয়ে চম্পট দেয় । অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিল সে । পরে প্রাক্তন কাউন্সিলর রঞ্জিত বাগ ও মেমারীর তৃণমূল নেতা প্রসুন দাস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান , পুলিশ ও আসে ঘটনাস্থলে । রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দেবাশীষকে নিয়ে আসা হয় মেমারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন‍্য । তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিতরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে । যদিও বিজেপি যুব মোর্চার নগর মন্ডল এর সভাপতি আজিজুর রহমান জানিয়েছেন , সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জনের সময় দিঘীরপাড়ে বিজেপি কর্মীদের কটুক্তি করে দেবাশীষ মালাকার । তা নিয়েই অশান্তি বাঁধে । পরে প্রাক্তন কাউন্সিলর রঞ্জিৎ বাগ ও তৃণমূল নেতা প্রসুন দাস ওই এলাকায় গিয়ে আরো অশান্তি তৈরী করে । বিজেপির পক্ষ থেকেও মেমারী থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান । সামগ্ৰিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।